এক কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইতে দরপতন হলেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে দরপতনের তালিকা বড় হলেও লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। লেনদেনের শুরুতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্যসূচকেরও বড় উত্থান হয়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু প্রথম তিন ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। আর শেষ আধা ঘণ্টায় রীতিমতো ঢালাও দরপতন হয়। ফলে মূল্যসূচকের পতনই দেখতে হয় বিনিয়োগকারীদের।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪১টির। আর ৭২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৫৩টির দাম কমেছে এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে ৫০টির দাম কমেছে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি। বিপরীতে ১৮টির দাম কমেছে এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৯৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট এলায়েন্স পোর্টের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালী পেপার, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক, লাভেলো আইসক্রিম, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
প্রদা/ডিও