রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে শনিবার বিকেলে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কার্গো ভিলেজের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে, এটি কতটা অনিরাপদ। গত কয়েক বছর ধরেই আমরা রপ্তানিকারকরা অভিযোগ করে আসছি, আমাদের পণ্য খোলা জায়গায় রাখা হয়, যা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম ইপিজেডে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পর কার্গো ভিলেজে এ ধরনের ঘটনা আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।
কার্গো ভিলেজ ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ হলো তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা, যারা তুলনামূলকভাবে হালকা যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের আমদানি এবং তৈরি পোশাক ও নমুনা পাঠানোর কাজে এটি ব্যবহার করে থাকেন।
বিমানবন্দর নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও ফায়ার সার্ভিস তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রদা/ডিও