আফগানিস্তানের ক্রিকেটে এমন দিন আর আসেনি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার কথা ভাবছে আফগানরা। আজ আবুধাবিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাদের সামনে সেই সুযোগ।
দ্বিতীয় ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছিল আফগানরা, যেখানে তারা ১৯০ রান করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ১০৯ রানে। দুই দলের আত্মবিশ্বাস এখন একদম বিপরীতমুখী-আফগানিস্তান ক্রমশ শক্ত অবস্থানে, আর বাংলাদেশ যেন দিশেহারা।
আফগানিস্তানের বোলাররাই এখন তাদের আসল শক্তি। দ্বিতীয় ম্যাচে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই প্রথম চার উইকেটের মধ্যে তিনটি তুলে নেন। এরপর রশিদ খান তার ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ দলকে ডুবিয়ে দেন।
বোলারদের এমন সাফল্য আসলে ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছে। কারণ আফগানিস্তানের ব্যাটিং এখনো পুরোপুরি গুছিয়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ইব্রাহিম জাদরান একাই লড়েছেন, ১৪০ বলে মাত্র চারটি বাউন্ডারিতে টিকে ছিলেন ৪৫তম ওভার পর্যন্ত। ধীরগতির পিচে রান নেওয়ার কৌশলটা তিনিই বুঝেছিলেন। বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মূল দুশ্চিন্তাই ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচে তারা তুলেছিল ২২১ রান, যা আফগানরা ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯০ রান তাড়া করতে গিয়ে পুরো ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে কোনো পরিকল্পনাই কাজে লাগছে না। দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, আমাদের কখনও কখনও বোলার নয়, বলটার বিপরীতে খেলতে হবে।
তবে বাংলাদেশের বোলিং ও ফিল্ডিং তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল। পেসাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করছেন, স্পিনাররাও লড়াই করছেন। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতা পুরো দলের পারফরম্যান্সকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
সিরিজে এখন ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ কি পারবে শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় তুলে নিতে? নাকি প্রথমবার টাইগারদের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়বে আফগানিস্তান?
প্রদা/ডিও