এক মাস পেছানোর পর বর্ধিত ট্যারিফ শেষ পর্যন্ত কার্যকর করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে প্রায় ৪১ শতাংশ বর্ধিত ট্যারিফ ১৫ অক্টোবর থেকে আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বন্দরের সেবা পেতে গুনতে হবে এই বাড়তি অর্থ।
এদিকে বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকরের ঘোষণার প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে দেশের শিপিং খাতে।
তবে কার্যকর হওয়ার আগে ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে এক মাস পিছিয়ে দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। বন্দর ব্যবহারকারীরা আশা করেছিলেন, এর মধ্যে হয়তো আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে চার্জ পুনির্নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু সেটি না করে ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত চার্জ কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর পর এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বাড়তি চার্জ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক শিপিং কম্পানি সিএমএ-সিজিএম। ২৬ অক্টোবর থেকে নতুন চার্জ কার্যকর হবে বলে কম্পানিটি নোটিসে জানিয়েছে। অন্য কম্পানিগুলোও একই পথে পা বাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা চাইলেই পণ্যের দাম বাড়াতে পারেন না। অপরদিকে বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে আমদানিকারকদের বাধ্য হয়ে পণ্যের দাম বাড়াতে হবে যা শেষ পর্যন্ত চাপবে ভোক্তার ওপর।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে ট্যারিফ নির্ধারণ করা উচিত ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মতামত উপেক্ষা করে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে।’
প্রদা/ডিও