বুধবার (৮ অক্টোবর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় আব্দুল হাকিম নিহত হয়েছেন, যা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করার একটি বড় উদাহরণ, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে।
রিজভী বলেন, “নিহত ব্যক্তি বা দুর্বৃত্তদের কেউ বিএনপির নেতা বা কর্মী নন। নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন।”
স্থানীয় সূত্র বলছে, হাকিম ছিলেন রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচ খাইন এলাকার মৃত আলী মদন চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী, তবে দলের কোনো পদে ছিলেন না।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গতকাল বিকেলে হাকিম তার গ্রামের খামারবাড়ি থেকে কাপ্তাই সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। মদুনাঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী অস্ত্রধারীরা তার গাড়ির ওপর গুলি চালায়। গুলিতে তিনি নিহত হন এবং অপর একজন আহত হন।
এদিকে, রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহম্মদ বলেন, হাকিম বিএনপির সমর্থক ও একজন ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নিহতের রাজনৈতিক প্রোফাইল নিয়ে বিভক্ত মতামত রয়েছে। এক সূত্র জানায়, ১৯৯১ সাল থেকে হাকিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০২৪ সালের পর পুনরায় বিএনপির স্থানীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে সক্রিয় হন। এছাড়া কর্ণফুলী এলাকায় তিনি অবৈধ বালু উত্তোলন ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণে ছিলেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রদা/ডিও