বিশ্ববাজারে সোনার দাম নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমতে পারে এমন প্রত্যাশার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনার চাহিদা বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ড প্রতি আউন্স ৩ হাজার ৯৫৬.০২ ডলারে স্থির হয়, যদিও এর আগের সেশনে এটি সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯৭৭.১৯ ডলারে পৌঁছে যায়, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ।
তাছাড়া ডিসেম্বরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সোনার মূল্য ৩ হাজার ৯৭২.২০ ডলারে স্থির রয়েছে।
স্যাক্সো ব্যাংক-এর প্রধান কমোডিটি বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুযোগ মিস না করতে চাওয়া এবং প্রচলিত নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যমগুলোর ওপর বিশ্বাস কমে যাওয়ার ফলে সোনার চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রমাগত সোনা ক্রয় ও কম সুদের হারও এই ধাতুর দাম বাড়াতে সহায়তা করছে।
এদিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী এখনই বড় আকারে সরকারি চাকরিজীবীদের ছাঁটাই হচ্ছে না। তবে অচলাবস্থা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ বিলম্বিত হচ্ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প সূত্র থেকে তথ্য নিচ্ছেন এবং সুদের হার কমানো নিয়ে জল্পনা করছেন।
বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মাস এবং ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ দুই দফায় মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে পারে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৫১ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা, সোনা-ভিত্তিক ইটিএফ-এর চাহিদা, ডলারের দুর্বলতা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ।
গোল্ডম্যান স্যাকস তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সোনার দাম ৪ হাজার ৯০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে, যা আগের পূর্বাভাস ৪ হাজার ৩০০ ডলারের চেয়ে বেশি।
প্রদা/ডিও