মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস ও বেসরকারি ভোগব্যয় বৃদ্ধির ফলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কিছু ব্যাঘাত ঘটলেও পরবর্তী সময়ে তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বহিরাগত খাতের চাপ কমা, রিজার্ভের স্থিতিশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস অর্থনীতিতে সামগ্রিক স্বস্তি এনেছে।
তবে এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগের গতি মন্থর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির, এবং উচ্চ অনাদায়ী ঋণের কারণে ব্যাংকিং খাত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্বল রাজস্ব আদায়ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় বিনিয়োগ কিছুটা উন্নতি করবে, তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতার কারণে তা সীমিত থাকবে। আমদানি স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি হিসাবের ভারসাম্য সামান্য ঘাটতিতে যেতে পারে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উন্নতি এবং রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
নীতি অগ্রাধিকার
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়াতে নিম্নলিখিত সংস্কারগুলো জরুরি—
-
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন: বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে বাধা হ্রাস, আর্থিক সহায়তার সুযোগ বৃদ্ধি, এবং বাজারে প্রতিযোগিতা জোরদার করা।
-
ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠন: দ্রুত খেলাপি ঋণ নিষ্পত্তি ও করপোরেট প্রশাসনের উন্নতির মাধ্যমে খাতটির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।
-
রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি: করনীতি ও কর প্রশাসনের পৃথকীকরণসহ গৃহীত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
এ ছাড়া স্থানিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সরকারগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রদা/ডিও