কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে সরকারি সিকিউরিটিজ এবং সরকার বা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদিত সিকিউরিটিজের সুদ থেকে আয়ের ওপর উৎসে কর বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ -এ সংশোধনী আনা হয়েছে। এর ফলে এনবিআর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করার যে আলোচনা ছিল, তা থেকে সরে এলো সরকার।
গতকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) অর্থ আইনের কিছু সংশোধন করা এক অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজের সুদের ওপর উৎসে করের হার হবে ১৫ শতাংশ, যা এতদিন ১০ শতাংশ ছিল। তবে কোম্পানি ছাড়া বাকি করদাতাদের ক্ষেত্রে করের হার আগের মতোই ১০ শতাংশ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।
চলতি অর্থবছরের শুরুতে সব ক্ষেত্রেই উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। এবার কোম্পানি করদাতার ক্ষেত্রে এ হার আরেক দফা বাড়লো।
সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত মোটরযান থেকে সংগ্রহ করা অগ্রিম কর চূড়ান্ত করদায় হিসাবে গণ্য হবে, যা কেবল বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত মোটরযান থেকে আয়ের বিপরীতে প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি বা অবাণিজ্যিক ব্যবহারের যানবাহনের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। যদিও এই অগ্রিম করের ওপর ভিত্তি করে করদাতার মোটরযান থেকে অর্জিত আয় হিসাব করতে হবে। করদাতা যদি বেশি আয় প্রদর্শন করেন, সেক্ষেত্রে যেটুকু বেশি প্রদর্শন করেছেন ওই অংশের ওপর নিয়মিতভাবে করারোপ করা হবে।
এছাড়া মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এ সংশোধনী আনা হয়েছে এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে। সেখানে বলা হয়, সরকার এখন থেকে গেজেট প্রজ্ঞাপন বা বিশেষ আদেশের মাধ্যমে যে কোনো পণ্য, পণ্য শ্রেণি বা সেবাকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক বা অগ্রিম কর থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে।
এর আগে গত ৭ মে ‘কর ব্যয় নীতিমালা এবং এর ব্যবস্থাপনা কাঠামো’ প্রকাশ করে এনবিআর। যেখানে প্রস্তাব করা হয়, বিভিন্ন খাতে করছাড় বা অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আর থাকবে না। কর ছাড়ের ফয়সালা হবে জাতীয় সংসদে
তবে সংশোধিত অধ্যাদেশের ফলে এনবিআর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করার যে আলোচনা ছিল, তা থেকে সরে এলো সরকার।
প্রদা/ডিও