অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও যেকোনো সম্ভাব্য সংকট এড়াতে ভারত থেকে নন-বাসমতি চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে চীনের তৈরি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে, চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৭ সাল নাগাদ ৪.৫ প্রজন্মের এই মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট কেনা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় হবে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০ কোটি টাকা।
চাল ও গম আমদানির তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চালের ব্যাপারে আমরা সবসময় সজাগ। আমরা নন-বাসমতি চাল আনব। আর এমনি গম আনব ৫০ হাজার মেট্রিক। গমটা আসবে ইউএসএ [যুক্তরাষ্ট্র] থেকে। আর চালটা আসবে ভারত থেকে, নন-বাসমতি।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করলেও নন-বাসমতি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত রেখেছে।
চাল আমদানির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই খাদ্যশস্যের রিজার্ভ বা মজুত নিশ্চিত করছি। এর কারণ হলো, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তাহলেও যেন দেশে চাল, গম, লবণ এবং পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে চালের কোনো শঙ্কা নেই, তবে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত থাকাটা সুবিধাজনক। এ ছাড়া, খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমের আওতায় ট্রাকে করে পণ্য বিক্রিও পুনরায় শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও অর্থ উপদেষ্টা তার আসন্ন বৈদেশিক সফর প্রসঙ্গে বলেন, এটি মূলত একটি ফলো-আপ বৈঠক, এখানে নতুন করে কোনো আলোচনার বিষয় নেই।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ-এর পাইপলাইনে আরও টাকা আছে কিছু। আর বাকি এডিবি, এআইডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা হবে।’ তিনি জানান, এই সফরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
প্রদা/ডিও