আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে সংশোধিত শুল্কহার কার্যকর করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নতুন এই হার ঘোষণার প্রায় একমাস পর এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
গত প্রায় ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ব্যাপক সংশোধনী এনে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বন্দর পরিষেবার চার্জ গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানান, কর্তৃপক্ষ গেজেট মেনে শুল্ক বাস্তবায়ন করতে বাধ্য।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু যেন সুন্দরভাবে করা যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য একটু সময় নেওয়া হয়েছে এবং বোর্ড এটা কার্যকর করতে ১৫ অক্টোবর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমাদের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ।’
চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙ্গর থেকে জেটিতে জাহাজ চালানো থেকে শুরু করে টাগবোট, ক্রেন চার্জ, বার্থিং, কন্টেইনার লোড ও আনলোড এবং পণ্য সরবরাহ পর্যন্ত একাধিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পরিষেবার জন্য ফি নেয়, যা একসঙ্গে বন্দর শুল্ক হয়।
নতুন শুল্ক হার অনুযায়ী, আমদানিকারকদের প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭২০ টাকা দিতে হবে। আর রপ্তানিকারকদের বাড়তি গুণতে হবে ৩ হাজার ৪৫ টাকা।
এককভাবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লোডিং ও আনলোডিং চার্জ—কনটেইনারে প্রতি ৪৩.৪০ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ ডলার।
শুল্ক বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেছেন রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, এই বাড়তি চার্জের ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যয় বেড়ে যাবে এবং আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, সমন্বয় করে চার্জ বাড়ানোর পরেও চট্টগ্রামের চার্জ অনেক আঞ্চলিক বন্দরের তুলনায় কম।
সর্বশেষ বৃহৎ পরিসরে চার্জ সংশোধন করা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। ২০০৭-০৮ সালে টাগবোট, ঘাট ভাড়া, কনটেইনার স্টোরেজ এবং কনটেইনার স্টাফিং ও আনস্টাফিংসহ মাত্র পাঁচটি পরিষেবার জন্য ফি বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
প্রদা/ডিও