আগামী নভেম্বর মাস থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য তালিকায় যোগ হবে পাঁচটি পণ্য। এই পণ্য তালিকায় রয়েছে চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও সক্রিয়করণবিষয়ক সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা অংশ নেন।
টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিয়ে থাকে। এতে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে সমতা তৈরি হয় উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন পাঁচটি পণ্য দরিদ্র মানুষকে আরেকটু স্বস্তি দেবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন , সরকার টিসিবির কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এক কোটি উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচন করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে পারলে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমূখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পৌঁছাক এটা আমার প্রত্যাশা। কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিচয় হোক সে দরিদ্র, অসহায় মানুষ, সরকারের সহযোগিতা তার প্রাপ্য। এসময় তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে উপকারভোগী নির্বাচন ও কার্ড সক্রিয়করণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সঠিক উপকারভোগী নির্বাচনে শনাক্তকরণ মূল সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে। এর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে গতি কিছুটা কম। সমস্যা যেহেতু চিহ্নিত হয়েছে আশা করি দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফতানি মো. আব্দুর রহিম খান ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়শল আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সভায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সর্বশেষ তথ্য অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে মোট সক্রিয় কার্ডের সংখ্যা ষাট লাখ চৌত্রিশ হাজার তিনশ ষোলটি।সক্রিয়করণ অপেক্ষমান কার্ডের সংখ্যা তিন লাখ উনচল্লিশ হাজার চারশ চুয়ান্নটি।
প্রদা/ডিও