মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে পূর্ণ শক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। অভিবাসী বন্দিশিবির ঘিরে চলা বিক্ষোভ ঠেকাতে তার এই পদক্ষেপ।
খবর বিবিসির।
তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে অ্যান্টিফা ও অন্য দেশীয় সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করা যাবে। তিনি ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে পোর্টল্যান্ডকে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর বলে উল্লেখ করেছেন।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনের পরিধি আরও বাড়াল ট্রাম্প প্রশাসন। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযানের অংশ হিসেবেই ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগ।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় আইনপ্রণেতারা। তাদের বক্তব্য, পোর্টল্যান্ডে ফেডারেল সেনা পাঠানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ওরেগনের গভর্নর টিনা কোটেক বলেন, পোর্টল্যান্ডে কোনো জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি নেই। আমাদের সম্প্রদায়গুলো নিরাপদ ও শান্ত পরিস্থিতে রয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কোটেক বলেন, যে কোনো ধরনের সেনা মোতায়েন হবে ক্ষমতার অপব্যবহার।
এদিকে, ট্রাম্প প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি কতদূর যাবেন, তা স্পষ্ট নয়। তার পোস্টে উল্লেখ করা হয়নি, তিনি ন্যাশনাল গার্ড নাকি নিয়মিত মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চান। আর পূর্ণ শক্তি ব্যবহারের অর্থ ঠিক কী, তাও পরিষ্কার নয়।
প্রদা/ডিও