বাজারে সব কিছুর দাম চড়া। বরাদ্দ বাজেটেও ভরে না সদাইয়ের ব্যাগ।
ফলে ফর্দ থাকছে অপূরণীয়, সংসারে চলছে মন কষাকষি। চলমান আয়ে বাজারদরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা যাচ্ছে না। জীবন নির্বাহে খরচের বোঝা সামলাতে না পারা মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্ত—সবার এখন দিশেহারা অবস্থা।
বিগত সপ্তাহের মতো শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চিচিঙ্গার কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, বড় (বেগুনি রং) বেগুন ২০০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, চালকুমড়া ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে বাজারভেদে ৩৫ কাটা, পটল ৮০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ১০০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা এবং কাকরোলের কেজি ১০০ টাকা দেখা গেছে বাজারগুলোতে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
এছাড়া গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা কেজি এবং লেবুর হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় মিলছে।
বাজারে মাঝারি মানের এক হালি কাঁচকলা ৪০ টাকা, বড় কাঁচকলা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ওলের কেজি মিলছে ৭০ টাকা। বাজারে মণ খারাপ শুধু আলুর। প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা। কোনো বাজারেই এ সবজির দাম ২৫ টাকার ওপরে দেখা যায়নি।
উচ্চ মূল্যের বাজারে বাড়তি পকেট কাটছে শাকের দাম। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ২৫ টাকা, পুঁই শাকের আঁটি ৫০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ২৫ টাকা এবং কচুর শাকের আঁটি ১০ টাকায় মিলছে।
প্রতিযোগিতার দামে দেশি সবজির মণ খারাপের অবস্থা সাহেবি সবজিতে। এত বেড়েও নাগাল ছুতে পারেনি বিদেশি সবজির দামে। বাজারে সবুজ ক্যাপসিকাম মিলছে ৩৫০ টাকা কেজি, রঙিন ক্যাপসিকাম ৮০০ টাকা এবং বিটরুট প্রতি কেজির দাম রাখা হচ্ছে ১৪০ টাকা।
শীত আসতে ঢের দেরি। তার আগে বাজারে যে নতুন শিম উঠেছে তার কেজি ২৫০ টাকা এবং ২০০/২৫০ গ্রামের একটি ফুল কপির দাম বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দেখা যাচ্ছে।
সবজির দামের যখন এই অবস্থা, জাতীয় মাছ সোনালি ইলিশের দাম বেশি না হলে হয়! রাজকীয় দাম এই মাছের। কিন্তু চড়া দামে কুলাতে না পেরে ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করেই কেটে পড়তে চাইছেন। অবশ্য বিক্রেতারা যেন নাছোড়বান্দা। কেউ দাম জানতে চাইলে যেন কিনিয়েই ছাড়তে চান। এক কেজি থেকে বেশি ওজনের ইলিশের কেজি ২৩শ’ টাকার ওপরে। ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৮শ’ টাকা, ২০০/২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৫৫০ টাকা থেকে বাজারভেদে ৬০০ টাকা রাখা হচ্ছে।
দামে কম যায় না অন্য মাছগুলোও। এক কেজির বেশি ওজনের কাতলের কেজি ৩৫০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের কাতলের কেজি ২৮০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের বোয়ালের কেজি ৬০০ টাকা এবং আইড় ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাবদা মাছের কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, ছোট বাইম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় বাইম ১২০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, মলা মাছ ৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৮০০ টাকা, বড় বেলে ১০০০ টাকা, ছোট বেলে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ টাকা, মাঝারি রূপচাঁদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দামের স্থিতিশীলতা কেবল মুরগিতে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বাজারভেদে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে বাজার ভেদে ৩২০ টাকা এবং লেয়ার ৩০০ টাকা রাখা হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা।
খোলা চিকন চাল (মিনিকেট) ধরন ও কোম্পানিভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৬০ টাকা, পাইজাম ৬৫ টাকা এবং আঠাশ চালের কেজি ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা ডাল ১১০ টাকা, ছোলার ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং মুগ ডালের কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংস মিলছে ৭৬০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি। ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি এবং ছাগি ১০৫০ টাকা কেজি।
ভোজ্যতেলের লিটার রাখা হচ্ছে ১৮৯ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ১৫০ টাকা, দেশি মাঝারি রসুন ১২০ টাকা কেজি এবং ছোট রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি রাখা হচ্ছে।
প্রদা/ডিও