গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭০টি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান এই সময় গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলের তথাকথিত “সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু”তে হামলা চালিয়েছে। তিনটি ডিভিশনের সেনা স্থল অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে হামাস যোদ্ধা হত্যার মতো বিভিন্ন দাবি যাচাইযোগ্য কোনো প্রমাণ তারা দেয়নি।
হামলায় নতুন করে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে আল-আহলি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নেওয়া ১২ জন, যাদের মধ্যে সাত নারী ও দুই শিশু রয়েছে। গাজার হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, মধ্যরাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ৬০ জনেরও বেশি মৃতদেহ তারা গ্রহণ করেছে।
হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স বলেছে, ফাইরাস মার্কেটের কাছে বাস্তুচ্যুতদের একটি ওয়্যারহাউজে বোমা হামলায় মৃতদের মধ্যে ছয় নারী ও নয় শিশু রয়েছে।
ধ্বংসস্তূপে মরদেহের করুণ দৃশ্যের খবর এসেছে এএফপি ও অন্যান্য সূত্রে, যদিও স্বাধীন আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় তথ্য যাচাই কঠিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তেল আল-হাওয়া ও রিমাল পাড়ায় ইসরায়েলি ট্যাংক দেখেছেন।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তাল আল-হাওয়ার আল-কুদস হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং গুলিবর্ষণে হাসপাতালের অক্সিজেন স্টেশন অকেজো হয়ে গেছে। আইডিএফ দাবি করেছে, হাসপাতালকে সরাসরি লক্ষ্য করা হয়নি।
ইসরায়েল বলছে, তাদের স্থল অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গোষ্ঠীটিকে “চূড়ান্ত পরাজয়” নিশ্চিত করা। কিন্তু অব্যাহত হামলায় গাজা সিটির হাসপাতাল ও প্রয়োজনীয় সেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। লাখো মানুষ পালিয়ে গেলেও আরও বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা মারাত্মক মানবিক সংকটে আটকে আছেন।
এদিকে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব মুসলিম নেতাদের কাছে মধ্যপ্রাচ্য ও গাজা শান্তির জন্য ২১ দফা পরিকল্পনা পেশ করেছেন। যদিও বিস্তারিত জানানো হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে আগামী দিনগুলোতে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি ঘোষণা সম্ভব হবে।
প্রদা/ডিও