বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। মূলত লেনদেনের শেষ দিকে ক্রেতার আধিক্য থাকায় সূচক ও লেনদেন বেড়েছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুর দিকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে দুপুর ১টার পর বাজারে ক্রেতার আধিক্য দেখা যায়।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার টানতে থাকায় সেগুলোর দাম বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ এক ঘণ্টা এই ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির। আর ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৬১টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ২৭টির দাম কমেছে এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৭১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪টির দাম কমেছে এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯টির এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১টির দাম কমেছে এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট এলায়েন্স পোর্ট।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সোনালী পেপার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, ই-জেনারেশন এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
প্রদা/ডিও