মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, তাদের আর্টেমিস মিশনের প্রথম মানববাহী মহাকাশযান ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই চাঁদ ঘুরে ফিরে আসতে পারে, যা পূর্ব পরিকল্পনার চেয়ে কয়েক মাস আগেই হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বহুল আলোচিত আর্টেমিস প্রোগ্রাম হলো চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষে গৃহীত একটি বহু বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প, যা চীনের ২০৩০ সালের চাঁদে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রয়েছে।
নাসার এই কর্মসূচির প্রথম মিশন আর্টেমিস-১ ছিল একটি অমানববাহী যাত্রা, যা ২০২২ সালের নভেম্বরে চাঁদের চারপাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
নাসার ভাষ্যমতে, আর্টেমিস-২ হবে প্রায় ১০ দিনের একটি মানববাহী মিশন, যার লক্ষ্য হলো চাঁদে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর ভিত্তি তৈরি করা।
এই মিশনে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে নামবেন না, তবে ১৯৭২ সালের পর এই প্রথমবার মানুষ নিম্ন কক্ষপথের বাইরে যাবে।
মূলত ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে এই মিশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, এখন তা আগাম ফেব্রুয়ারিতেই চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাসার কর্মকর্তারা।
নাসার ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লাকিশা হকিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ইতিহাসের এক অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছি। ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই লঞ্চ উইন্ডো খুলে যেতে পারে, তবে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার নিরাপত্তা।
এই মিশনটি সফল হলে, তার পরবর্তী ধাপ হবে আর্টেমিস-৩, যার লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে মানুষ নামানো এবং এটি ২০২৭ সালে শুরু হওয়ার কথা। এ মিশনে স্পেসএক্সের স্টারশিপ-এর একটি চাঁদ অবতরণযোগ্য সংস্করণ ব্যবহার করা হবে।
প্রদা/ডিও