দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য পর্যাপ্ত ডলার সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বসুন্ধরা, স্কয়ার, টি কে গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল, স্বপ্ন, মেঘনা, নাবিল গ্রুপসহ দেশের প্রধান ২০ শিল্পগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে গভর্নর এই আহ্বান জানান।
‘গভর্নর এ বিষয়ে বলেন, আমদানি এলসি মনিটরিং ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের জন্যই ভালো। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং না হয়। আর সিঙ্গেল বোরোয়ার এক্সপোজার লিমিট শিথিল করতে হলে ব্যাংকগুলোর মূলধন বাড়াতে হবে। এজন্য উদ্যোক্তাদের নতুন করে মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে।’
বৈঠক শেষে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের বর্তমান ভোগ্যপণ্যের মজুত, আমদানির প্রয়োজনীয়তা ও সরবরাহ জটিলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গভর্নর চান, আমদানি বাড়লেও যেন মূল্যস্ফীতি না বাড়ে। এজন্য বাজার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন।’
এসিআই লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘ডলারের বাজার দীর্ঘদিন ধরেই স্থিতিশীল। বর্তমানে ডলারের ঘাটতি নেই। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক চায় রিজার্ভ ধরে রেখে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামানো এবং একই সঙ্গে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হলে সম্ভব হবে না। ‘এজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে, যাতে বাজার পরিস্থিতি ও সমস্যাগুলো বোঝা যায় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট নেই। ‘বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাজার থেকে ডলার কিনছে।’
প্রদা/ডিও