চট্টগ্রাম বন্দরের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল বা আরএসজিটি চিটাগংয়ে (সাবেক পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল) কনটেইনার রাখার নতুন চত্বর সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদনের পর এটি চালু হয়। নতুন শেড বা ছাউনি এবং ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হওয়া যন্ত্রপাতির কারণে টার্মিনালের সক্ষমতা ও সেবার পরিধি বাড়ছে বলে জানিয়েছে এর পরিচালনাকারী সৌদি প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৩ সালের জুনে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্বে টার্মিনালটির দায়িত্ব নেয় সৌদি আরবের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আরএসজিটি। তবে শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতায় পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার সম্ভব হয়নি। এখন নতুন সুবিধা যুক্ত হওয়ায় কনটেইনার ওঠানো–নামানোর হার বাড়ছে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, আগে কেবল রপ্তানি কনটেইনার লোড করা হলেও গত মে থেকে আমদানি কনটেইনারও নামানো শুরু হয়েছে। তবে জায়গার অভাবে একসঙ্গে বেশি জাহাজ ভেড়ানো যাচ্ছিল না। সম্প্রতি চালু হওয়া সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে একসঙ্গে পাঁচ হাজার একক কনটেইনার রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আরএসজিটির তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে টার্মিনালে ২৪ হাজার ৬০৭ একক কনটেইনার ওঠানো–নামানো হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৬৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া টার্মিনালে এলসিএল কনটেইনার (এক কনটেইনারে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য) ব্যবস্থাপনার সুবিধাও বেড়েছে। নতুন শেড যুক্ত হওয়ায় এখন একসঙ্গে ৩৫০ একক এলসিএল কনটেইনারের পণ্য রাখা সম্ভব।
বর্তমানে জাহাজের নিজস্ব ক্রেন দিয়ে কনটেইনার ওঠানো–নামানো হচ্ছে। তবে আগামী বছরের মার্চে চারটি অত্যাধুনিক গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হবে। এ ছাড়া দক্ষতা বাড়াতে চারটি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেন বহরে এসেছে, যা আগামী মাস থেকে চালু হবে। দ্বিতীয় ধাপে অক্টোবরে আরও ১০টি আরটিজি আসবে। ধাপে ধাপে আগামী মে মাসের মধ্যে সব যন্ত্রপাতি যোগ হবে। এসবের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
এ বিষয়ে আরএসজিটি চট্টগ্রামের বাণিজ্য ও জনসংযোগ প্রধান সৈয়দ আরেফ সরওয়ার বলেন, “আমরা শুধু একটি টার্মিনাল নয়, একটি আস্থা ও দক্ষতার ভিত্তি গড়ে তুলছি। দ্রুত বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা প্রদানই আমাদের লক্ষ্য। চট্টগ্রাম বন্দরকে এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎমুখী লজিস্টিকস হাব হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।”
প্রদা/ডিও