স্টারমারের সঙ্গে অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আপনারা দেখছেন মানুষ ঢুকছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমি হলে এটা থামিয়ে দিতাম। সেটা সেনাবাহিনী ডেকেই হোক আর যে উপায়েই হোক, এতে কিছু যায় আসে না।
স্টারমারের সঙ্গে অভিবাসন সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আপনারা দেখছেন মানুষ ঢুকছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমি হলে এটা থামিয়ে দিতাম। সেটা সেনাবাহিনী ডেকেই হোক আর যে উপায়েই হোক, এতে কিছু যায় আসে না।
তিনি আরো বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ‘লাখো মানুষকে’ অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করতে দেখেছেন, যা তার ভাষায় ‘দেশকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে’।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার জানান, যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তি করেছে। তিনি বলেন, আজ সকালে এ কর্মসূচির আওতায় একটি ফ্লাইটে কাউকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সহজভাবে বললে, তেলের দাম কমে গেলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থেকে সরে যাবেন। তার আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কি গত মাসে পুতিনকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুতপ্ত? জবাবে ট্রাম্প ‘না’ সূচক উত্তর দেন। তবে তিনি বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বজুড়ে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ। তবে আমরা শান্তির সন্ধানেও ঐক্যবদ্ধ।
গাজা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক বলেও জানান স্টারমার। তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার ইঙ্গিত দিলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি স্টারমারের মতের সঙ্গে একমত নন। বরং হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ওপর জোর দেন তিনি।
বুধবার দুই দিনের যুক্তরাজ্য সফরে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটি তার দ্বিতীয় সফর যা এর আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সফরকালে যুক্তরাজ্যে রেকর্ড ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন খাতের মার্কিন কোম্পানিগুলো। বেসরকারি বিনিয়োগ হিসেবে একে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করছে যুক্তরাজ্য সরকার, যা হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে। প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের বড় অংশই দেবে বিশ্বের শীর্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন। আগামী ১০ বছরে যুক্তরাজ্যে ৯০ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। এছাড়া চার বছরে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করবে মাইক্রোসফট। বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুগল, প্রলজিস, প্যালান্টির, আমেন্টাম ও বোয়িং।
প্রদা/ডিও