প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য শিল্পকে ঝুঁকিতে ফেলবে বাড়তি বন্দর মাশুল। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের বর্ধিত মাশুলের কারণে কাঁচামালের আমদানি খরচ বাড়বে। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন দেশের রপ্তানিকারকরা। দাম বাড়বে অনেক খাদ্যপণ্যের। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আরোপ করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গেজেট প্রকাশ করা হয়। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ গেজেট প্রকাশিত হয়। ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন মাশুল কার্যকর হয়েছে। ঘোষিত গেজেটে বন্দরের ৫৬ সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি মাশুল বেড়েছে কনটেইনার পরিবহনে।
ঘোষিত গেজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, পণ্যভর্তি প্রতি টিইইউস (২০ ফুট একক) কনটেইনারে বর্তমানে গড়ে মাশুল দিতে হবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগে ছিল কনটেইনারপ্রতি ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এতে নতুন গেজেট অনুযায়ী কনটেইনারপ্রতি গড়ে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বাড়তি গুনতে হবে বন্দর ব্যবহারকারীদের। তাতে ২০ ফুটের একেকটি কনটেইনারে গড়ে ৩৭ শতাংশ মাশুল বেড়েছে।
বন্দর মাশুল বাড়ায় তৈরি পোশাক, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যও। আমদানি-রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা। আমদানিতে খরচ বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তার ওপর। আর রপ্তানিতে প্রতিযোগিতায় টিকতে করতে হবে সংগ্রাম।
বাপা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বের ১০৬টি দেশে দুই লাখ তিন হাজার ৬৯২ টন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার ডলারের বেশি।