বৈশ্বিক বাজারে ২০০৮-০৯ সালে স্পট মূল্য নির্ধারণ শুরুর পর আকরিক লোহার দামে কমছে অস্থিতিশীলতা।
২০০৮-০৯ সালে স্পট মূল্য নির্ধারণ শুরুর পর থেকে বৈশ্বিক বাজারে আকরিক লোহার দামে অস্থিরতা কমেছে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে এই খনিজটি গড়ে প্রতি টন ১০০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে, যার মধ্যে দাম ৯০ থেকে ১১০ ডলারের মধ্যে উঠানামা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ক্রয়নীতির পরিবর্তন এবং চায়না মিনারেলস রিসোর্সেস গ্রুপের (সিএমআরজি) কার্যক্রম এই স্থিতিশীলতার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে। সংস্থাটি চীনের অর্ধেকের বেশি ইস্পাত উৎপাদনকারীর হয়ে ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে, ফলে স্পেকুলেটিভ ট্রেডিং হ্রাস পাচ্ছে।
গত সপ্তাহে দাম ছিল প্রায় ১০৫ ডলার। চীনে সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফিরে এসেছে, পাশাপাশি ফেডের সুদহার কমার প্রত্যাশা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
চীনে ইস্পাত উৎপাদন ও রফতানি উভয়ই স্থিতিশীল রয়েছে। ২০২৫ সালেও ইস্পাত রফতানি ১০ কোটির বেশি থাকতে পারে। তবে বছরের শেষ দিকে কিছুটা পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে ঋণাত্মক কনট্রাক্ট এবং শেয়ারবাজারে মিশ্র অবস্থান বাজারে সতর্কতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, আকরিক লোহার স্থিতিশীল দাম ইস্পাত উৎপাদনে ইতিবাচক হলেও দ্রুত মুনাফার লেনদেনে আগ্রহীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
প্রদা/ডিও