বিআইডব্লিউটিএ বলছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূল ও দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটারেরও কম। এ চ্যানেলে সন্দ্বীপে যাতায়াতের পাঁচটি ঘাট রয়েছে, স্থানটি মৎস্য আহরণেও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সীতাকুণ্ড অংশের উপকূলে বিস্তীর্ণ জাহাজ ভাঙা শিল্প রয়েছে। সরু এ চ্যানেল এমনিতে পলি জমে, ভাঙন ও দুর্যোগে প্লাবিত ও বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে বাঁশবাড়িয়া পর্যন্ত সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালি উত্তোলনের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), যারা দাবি করছে—এ চ্যানেল তাদের সংরক্ষিত নৌপথ এবং এখান থেকে বালি উত্তোলন পরিবেশ, নৌচলাচল ও উপকূলীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
বিআইডব্লিউটিএর মতে, চ্যানেলটি সরু, পলিযুক্ত এবং ভাঙনপ্রবণ। এটি সন্দ্বীপ যাতায়াত, মৎস্য আহরণ ও শিপব্রেকিং শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সংস্থাটি নিয়মিত হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও ড্রেজিং করে থাকে। তাদের অনুমতি ও পর্যবেক্ষণ ছাড়াই বালি উত্তোলনের ইজারা দেয়াকে তারা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে। তারা “বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০”-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা বেআইনি।
চবক ১৫ মে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪টি ব্লকে এক বছরের জন্য বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয় ৪টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। বিআইডব্লিউটিএ একাধিকবার আপত্তি জানালেও তা উপেক্ষিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া বালু উত্তোলনের ফলে সন্দ্বীপ চ্যানেলের নৌ-নিরাপত্তা, উপকূলীয় রক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
প্রদা/ডিও
	    	
                                
		    





