চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ইয়ার্ড দখল করে থাকা ১০ হাজারের বেশি কন্টেনার নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব কন্টেনার সরিয়ে নিতে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও নানা জটিলতায় সমাধান হচ্ছে না। ফলে শত শত কন্টেনারের পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে, অনেকের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে বাজারমূল্য হারিয়েছে। কেমিক্যাল বোঝাই কন্টেনারগুলো এখন জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে প্রায় ৪৫ হাজার টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে খালাস না হওয়া কন্টেনার। মামলাসহ আইনি জটিলতা, মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি ও বাজারদর পড়ে যাওয়ায় খালাসে গড়িমসি—এমন নানা কারণে কন্টেনারগুলো আটকে আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চিঠি দিলেও কার্যত সমাধান হয়নি। হাতে গোনা কিছু কন্টেনার নিলামে বিক্রি বা ধ্বংস করা হলেও বেশিরভাগ এখনো ইয়ার্ড দখল করে আছে। এতে ইকুইপমেন্ট মুভমেন্ট ও কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি বিশেষ আদেশ জারি করে বলেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আটকে পড়া কন্টেনার দ্রুত নিলাম বা ধ্বংস করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় নিলামে বিক্রি না হলে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে। ব্যবহার অযোগ্য পণ্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
তবে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, কয়েকশ কন্টেইনার নিলাম করে সমস্যার সমাধান হবে না। দীর্ঘসূত্রতা কাটাতে সরকারের বিশেষ ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নেওয়া প্রয়োজন।
প্রদা/ডিও