যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিডে বড় আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে সারা দেশে আকস্মিকভাবে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। ঘণ্টাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিডে বড় আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে সারা দেশে আকস্মিকভাবে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। ঘণ্টাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যে ইউনিটটি (৬৬০ মেগাওয়াট) বন্ধ হয়ে গেছে, সেটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা নেই। অন্যদিকে ভারতের আদানি পাওয়ারের একটি ইউনিট (৮০০ মেগাওয়াট) থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রটির মোট সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। বিবিয়ানার একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়ে। এ কেন্দ্রের সক্ষমতা ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি। যদিও রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিবিয়ানার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় উৎপাদনে ফেরে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে যে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোর মোট সক্ষমতা প্রায় ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এদিকে গ্রিড থেকে বড় সক্ষমতার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। বিপিডিবি বিকল্প উপায়ে কীভাবে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৮৯০ মেগাওয়াট। আর রাতে ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্য অনুযায়ী ৮-৯ সেপ্টেম্বর সর্বনিম্ন ৩০ মেগাওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ৯৩৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। বিশেষ করে গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং বাড়তে থাকে।
প্রতি ঘণ্টায় চাহিদা ও উৎপাদনে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৮০০ মেগাওয়াট করে লোডশেডিং ছিল। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। তাতে দেখা যায় এরপর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের ওপর লোডশেডিং ছিল।
পিজিসিবির সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল রাত ৯টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৬ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৩ মেগাওয়াট। বাকি চাহিদার পুরোটাই লোডশেডিং ছিল।
প্রদা/ডিও