চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত কালুরঘাট সেতুতে বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যাওয়ায় সেতুতে বাতি জ্বলছে না। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই অন্ধকার নেমে আসে এ সেতুতে। সেতুটির একটি অংশ দিয়ে পথচারী চলাচল করে থাকে। বাতি না জ্বলায়, চলাচলকারী লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতে রেলওয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতা দেখছেন তারা।
জানা যায়, ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় করে জরাজীর্ণ পুরোনো কালুরঘাট সেতুটিতে বড় ধরনের সংস্কার করা হয়। এরপর সেতুটি ট্রেনসহ সাধারণ যানবাহন ও পথচারী পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সংস্কারের অংশ হিসেবে সেতুর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও তুলনামূলক উন্নত করা হয়। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝঝিতে সেতুতে বিদ্যুৎ সরবরাহের বেশ কিছু তার চুরি হয়ে যায়। এরপর থেকে অন্ধকারেই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। একইভাবে চলাচল করছে ট্রেন ও যানবাহনও।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, কালুরঘাট রেল-কাম-সড়ক সেতুটি সংস্কারকালে সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষণসহ নিরাপত্তার দায়িত্ব পড়ে চুক্তি অনুযায়ী ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। চুরি হয়ে যাওয়া সেতুর তার পুনরায় সংযোজনের জন্য ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুনভাবে সংস্কারের পর পথচারীদের সুবিধার্থে ৩১টি স্ট্রিটলাইট স্থাপন করা হয়েছে কালুরঘাট সেতুতে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮শ ফুট বৈদ্যুতিক কেবল চুরি হয়েছে। দ্রুত নতুন তার সংযোজনের মাধ্যমে বাতিগুলো চালু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্স প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান।
প্রদা/ডিও