চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে কনটেইনার জট আবারও চরমে পৌঁছেছে। এতে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে প্রচণ্ড ধীরগতি দেখা দিয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, একটি কনটেইনার খালাসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২–৩ দিন বেশি সময় লাগছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে বন্দরে কনটেইনার ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় ২০% বেশি পণ্য রাখা হয়েছে। এর ফলে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস এবং গাড়িতে তোলা–নামানোতে দেরি হচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেরিতে কাঁচামাল খালাসের কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, “একটি কন্টেইনার সময়মতো না পেলে পুরো লট ডেলিভারি আটকে যায়। এতে বিদেশি ক্রেতার আস্থা নষ্ট হয়।”
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ম্যানুয়াল কাস্টমস প্রক্রিয়া এই জটের মূল কারণ। যদিও কর্তৃপক্ষ দ্রুত ডিজিটালাইজেশন এবং কনটেইনার টার্মিনাল সম্প্রসারণের কথা বলছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স করা, অতিরিক্ত কন্টেইনার রাখার জন্য বিকল্প ইয়ার্ড, বন্দরের অপারেশনের সময় বাড়ানো গেলে বন্দরের পণ্য জট কমানো যেতে পারে।
প্রদা/ডিও