গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, তার প্রায় দ্বিগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচক ও বাজার মূলধনের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। এতে দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৪৩টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৬টির। এছাড়া ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১০ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা বা এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।
গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বড় অঙ্কে বাড়ার পাশাপাশি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৯৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৪২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ২৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২৬৪ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৬৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৫ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহর ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ১৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৩১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, ব্র্যাক ব্যাংক, রবি, সোনালী পেপার, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা ব্যাংক এবং আইটি কনসালটেন্ট।
প্রদা/ডিও