বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টা নাগাদ জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট কেনাবেচা হচ্ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৬ ডলার ৬৪ সেন্টে। আগের দিনের তুলনায় দরপতন হয়েছে দশমিক ৫ শতাংশ বা ব্যারেলপ্রতি ৩৫ সেন্ট। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দরপতন হয়েছে ব্যারেলে ৩৩ সেন্ট। আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৫ শতাংশ কমে পণ্যটির মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬৩ ডলার ১৫ সেন্টে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো দেখা যাচ্ছে নিম্নমুখী প্রবণতা। তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাপ্তাহিক দরপতনের পথে জ্বালানি পণ্যটির বাজার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ চাপ বেড়ে যাওয়ার জোর আশঙ্কায় পণ্যটির বাজার এখন টানা পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি সপ্তাহে ব্রেন্টের দরপতন হয়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ। ডব্লিউটিআইর ক্ষেত্রে এ হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে সরবরাহ চাপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কাকে চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে ওপেক প্লাস জোটের উত্তোলন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এখন পণ্যটির দামে নিম্নমুখী চাপ তৈরি করেছে বলে অভিমত তাদের। রোববার চলতি সেপ্টেম্বরের উত্তোলন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জোট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
বিএমআই মার্কেট রিসার্চের বাজার বিশ্লেষকরা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামকে একটি পর্যায়ে ধরে রাখার ক্ষেত্রে সাধারণত পণ্যটির সংযোগ শিল্পগুলো (যেমন পরিশোধন শিল্প) বেশ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভূমিকা রাখে। কিন্তু সামনের দিনগুলোয় বিশ্বব্যাপী অনেক পরিশোধনাগারই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু সময় বন্ধ রাখা হবে, যা পণ্যটির চাহিদার নিম্নমুখী চাপকে আরো জোরালো করে তুলবে।
প্রদা/ডিও