ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ও অধিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি ও চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই’র আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘ব্যবসার জন্য বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান।
তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। তবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিরোধ ও মামলা জটও বাড়ছে। কার্যকর সমাধান না হলে এ সংকট আমাদের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন আদালতে বিপুল পরিমাণ মামলা ঝুলে ছিল। আপিল বিভাগে ২৯১টি, হাইকোর্টে ৯৮ হাজার ৬১৯টি এবং নিম্ন আদালতে প্রায় ৬৪ লাখ মামলা এখনো নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক বিরোধের মূল্য প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তাসকীন আহমেদ বলেন, যদিও সম্প্রতি দেওয়ানি কার্যবিধি (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে, তবুও জটিল বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিধান নেই। একইভাবে, সালিশি আইন ২০০১ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়নি।
তিনি এ অবস্থায় একটি বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত গঠনের আহ্বান জানান। তার মতে, প্রশিক্ষিত বিচারক নিয়ে গঠিত এই আদালত স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারবে। এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।
সভাপতি আশা করেন, আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবমুখী নীতিগত সুপারিশ পাওয়া যাবে যা বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আরও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
প্রদা/ডিও