স্থানীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দ্বিতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গতকাল রোববার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা সোমবারও বলবৎ রয়েছে। এর মধ্যে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রশাসনিক ভবনে নিয়োগ পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলছে ।
সোমবার সকালে সরেজমিনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ মিনার, গোলচত্বর ও ২ নম্বর গেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাস অনেকটাই ফাঁকা। এখানে-সেখানে দু-একজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেলেও স্বাভাবিক সময়ে এসব জায়গা দিনভর শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর থাকে। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বাহন শাটল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবারও একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হবে কি না, তা পরে জানানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় দেরিতে ঢোকায় দারোয়ান এক ছাত্রীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার গভীর রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক। রবিবার সকালে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত হন। দেশীর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। প্রশাসন বলছে, ৪০০ থেকে ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
প্রদা/ডিও