সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৭ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। এতে কমেছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরপরও বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৪টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১৯টির শেয়ার দাম কমেছে। আর আর্থিক খাতের ৫টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১৩টির শেয়ার দাম কমেছে।
এদিকে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১০৮টির দাম কমেছে এবং ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ২৯টির দাম কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪টির দাম কমেছে এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার। ১৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিচ হ্যাচারি, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, শাহাজিবাজার পাওয়ার, মালেক স্পিনিং এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা।
প্রদা/ডিও