দেশের পুঁজিবাজারে দুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
দেশের পুঁজিবাজারে দুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সূচক বাড়লেও এক্সচেঞ্জটিতে এদিন লেনদেন কিছুটা কমে ১ হাজার ১৭৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক, সাধারণ বীমা, ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। দিন শেষে ডিএসই সূচক ডিএসইএক্স ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৩৮৯ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০১ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস এদিন ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ১৭৯ পয়েন্ট। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ১৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের।
ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়ার ৩৯৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৮টির, কমেছে ১১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টির বাজারদর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে মালেক স্পিনিংয়ের সবচেয়ে বেশি ২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
১১ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বীমা খাত। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের।
আর ব্যাংক খাত ৯ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সিটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে সাধারণ বীমা খাতে। এছাড়া জীবন বীমা খাতে ২ দশমিক ৭ ও ব্যাংক খাতে ১ দশমিক ৯ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন ছিল। অন্যদিকে পাট খাতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ২ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।
প্রদা/ডিও