বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১২ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেরামতে ১১১ কোটি টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বিদেশ থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিআইডব্লিউটিএর বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) (২য় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।
প্রকল্পটির মূল চুক্তিমূল্য ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। নতুন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৫ টাকা। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ৯৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৫ টাকা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) অধীন শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জিটি-২ মেরামত কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬৪ টাকা।
প্রদা/ডিও