বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক নীতির পরও এখনো ঋণ পেতে নানা ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন এমএসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, সুইসকন্টাক্ট এবং ইনোভিশন কনসাল্টিং-এর সহায়তায় ‘অর্থায়নের সুযোগ: নীতি থেকে প্রয়োগ’ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় এ কথা উঠে আসে।
রোববার (২৪ আগস্ট) এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷
গোলটেবিল বৈঠকে এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং প্রয়োগের ব্যবধান কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন উদ্যোক্তা, ব্যাংকার, নীতি নির্ধারক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, অর্থায়নের অভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ এমএসএমই উদ্যোক্তার প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। দেশের অর্থনীতিতে এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান বাড়াতে এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এসব বাধা দূর করে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অগ্রগতির বাধাগুলো দূর করে তাদেরকে সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী করতে সবার সহায়তা প্রয়োজন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান বলেন, উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সংকট নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা হলেও খুব কম সমস্যারই সমাধান হয়েছে।
শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এমএসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় তিন কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০ শতাংশই নারী-উদ্যোক্তা।
প্রদা/ডিও