চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়বে ৪১ শতাংশ এই বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে নৌ মন্ত্রনালয়।
প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আবার পর্যালোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৮৬ সালের পর বন্দরের মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত মাশুল কার্যকর হওয়ার পরেও আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় মাশুল অনেক কম থাকবে।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুল গত ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রস্তাবটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর্যায়ে ছিল। গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বেশি আকারে নতুন মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় বাড়বে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দরের সব মাশুল নির্ধারিত হয় ডলারে। যে কারণে দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সঙ্গে একইহারে মাশুলের পরিমাণ বাড়বে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মাশুল বাড়ানো হয়েছে কনটেইনার পরিবহনে। এতে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল আদায় করে। নতুন হার কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি বাড়তি দিতে হবে গড়ে চার হাজার ৩৯৫ টাকা। এতে আমদানি কনটেইনারে বাড়বে পাঁচ হাজার ৭২০ টাকা। রপ্তানি কনটেইনারে বাড়বে তিন হাজার ৪৫ টাকা। সব মিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।
প্রদা/ডিও