নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে ৬৩ এমভিএ ১৩২/৩৩ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমারসহ সহায়ক সাবস্টেশন যন্ত্রপাতি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রায় ২৪ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যমানের চুক্তির আওতায় এই রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে।
এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারির পর এটি এনার্জিপ্যাকের প্রথম রপ্তানি কার্যক্রম, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানের পুনঃসূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এর আগে, এনার্জিপ্যাক নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে ২৫টি সাবস্টেশন নির্মাণ করেছে।
এই রপ্তানিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি এনার্জিপ্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যমান রপ্তানি-আমদানি পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ উপলক্ষে এনার্জিপ্যাক রাজধানী ঢাকায় এক মাসব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মশালা ও সেমিনারসহ অংশীজনদের জন্য সফর ও সাক্ষাতের আয়োজন করে।
এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ‘করোনা মহামারির পর আমাদের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে এই রপ্তানি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই রপ্তানি শুধু এনার্জিপ্যাকের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের পুরো প্রকৌশল খাতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এটি প্রমাণ করে, আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বৈশ্বিক বাজারের চাহিদা পূরণের।’
রবিউল আলম আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রকৌশল সক্ষমতা তুলে ধরতে পেরেছি বলে আমরা গর্বিত।’
কোভিড-১৯ পূর্ব সময়ে এনার্জিপ্যাক প্রতিবছর গড়ে পাঁচ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করত এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস খাতে গোল্ড ক্যাটাগরিতে একাধিক জাতীয় রপ্তানি ট্রফিও অর্জন করেছে।
এ রপ্তানি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং এ শিল্পখাতে টেকসই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রদা/ডিও