বাংলাদেশের মূল্যবান ইলিশ, যা একসময় নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত, তা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে – যা জেলেদের জন্য একটি ধাক্কা এবং ঊর্ধ্বমুখী দামের মুখোমুখি ভোক্তাদের উপর একটি বোঝা।
উদাহরণস্বরূপ, লক্ষ্মীপুরের মতিরহাটের কথাই ধরুন। একসময় ইলিশের ব্যস্ততম কেন্দ্র ছিল, এখন এটি তার পূর্বের অস্তিত্বের ছায়া।
মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বাজারটি ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকত, কিন্তু আজ মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা খোলা থাকে।
বালির ঘাট, দূষণ এবং নাব্যতা সমস্যার কারণে ইলিশের মজুদ তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে জেলেরা তাদের জ্বালানি খরচও মেটাতে পারছেন না।
ইলিশের প্রধান মৌসুম জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে, কিন্তু এই বছর, এমনকি শীর্ষ মৌসুমেও, মাছ ধরার পরিমাণ কম। ঘাটতির কারণে দাম বেশিরভাগ পরিবারের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
কৃষি বিপণন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ইলিশের দাম এখন প্রায় ২১% বেশি।
ঢাকার খুচরা বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ২২০০-২৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত মাঝারি আকারের মাছের দাম ১,৬০০-২,২০০ টাকা, আর ছোট মাছের দাম ৬০০-১,৬০০ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা নদীতে ইলিশের সংখ্যা হ্রাসের জন্য নদীতীরের পলি জমে থাকা, দখল, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাঁধ ও সেতুর কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত সহ একাধিক কারণকে দায়ী করছেন।
জুলাই মাস থেকে অব্যাহত বৃষ্টিপাত এবং অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরা আরও ব্যাহত হচ্ছে।
প্রদা/ডিও