প্রস্তাবিত বন্দর মাশুল নিয়ে গেজেট প্রকাশের আগে শেষ মুহূর্তে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রায় ৩৯ বছর পর মাশুল বাড়াতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী বন্দর সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বন্দর স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবটি আবার পর্যালোচনার জন্যে সোমবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত নতুন মাশুল গত ২৪ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রস্তাবটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর্যায়ে ছিল। গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বেশি আকারে নতুন মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় বাড়বে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দরের সব মাশুল নির্ধারিত হয় ডলারে। যে কারণে দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হলে তার সাথে একইহারে মাশুলের পরিমাণ বাড়বে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মাশুল বাড়ানো হয়েছে কনটেইনার পরিবহনে। এতে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল আদায় করে । নতুন রেট কার্যকর হলে কনটেইনারপ্রতি বাড়তি দিতে হবে গড়ে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা। যাতে আমদানি কনটেইনারে বাড়বে ৫ হাজার ৭২০ টাকা। রপ্তানি কনটেইনারে বাড়বে ৩ হাজার ৪৫ টাকা। সবমিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।
প্রদা/ডিও