এশিয়ার বাজারে চলতি সপ্তাহে চালের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভিয়েতনামে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ হ্রাস এ সময় দেশটিতে খাদ্যশস্যটির দাম বাড়ার পেছনে প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে রুপির শক্তিশালী বিনিময় হারের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ার কারণে ভারতেও এ সময় চালের বাজারদর বেড়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত প্রতি টন চাল ৩৯৯ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল টনপ্রতি ৩৯৫ ডলার।
ভিয়েতনাম চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ৩ লাখ ৬৪ হাজার টন চাল রফতানি করেছে। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি।
ভারতে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৩৭১-৩৭৬ ডলার। এটি এর আগের সপ্তাহের টনপ্রতি ৩৬৯-৩৭৪ ডলারের তুলনায় বেশি। এ সময় ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত আতপ চাল টনপ্রতি ৩৬৩-৩৬৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে। কলকাতার এক ব্যবসায়ী জানান, ভারতে দীর্ঘ সময় চালের দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে। তবে মুদ্রার বিনিময় হার বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে দামও বাড়ানো হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম চলতি সপ্তাহে কিছুটা বেড়ে টনপ্রতি ৩৬৫-৩৭০ ডলারে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল টনে ৩৫৫-৩৬০ ডলার। তবে বৈশ্বিক বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রফতানিকারকদের জন্য চাপ তৈরি করছে। ফলন ভালো হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া আমদানি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিপাইন দুই মাস পুরনো চাল আমদানি করবে না বলে জানিয়েছে। ভারতও অভ্যন্তরীণ মজুদ থেকে বাজারে চাল ছাড়ার কথা জানিয়েছে।
চাহিদা ও সরবরাহের অসামঞ্জস্য থেকে সৃষ্ট এ চাপে থাইল্যান্ড সরকার সম্প্রতি ১০ হাজার ৬০০ কোটি বাথ (৩২৬ কোটি ডলার) সহায়তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষকদের সরাসরি নগদ সহায়তা ও ঋণ নিশ্চয়তা।
প্রদা/ডিও