মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাপ ও হুমকির কারণে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাপ ও হুমকির কারণে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়েছে। এর বিপরীতে দেশটি থেকে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে চীন। খবর রয়টার্স ও দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
ভারত রাশিয়া থেকে জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের আমদানি আগের মাসের তুলনায় ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়েছে। এ সময়ে দেশটি প্রতিদিন ১৫ লাখ ব্যারেল রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানি তেলের ওপর ছাড় কমে এসেছে।
একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতর্কবার্তার কারণে ভারতের জ্বালানি তেলের রাষ্ট্রায়ত্ত পরিশোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে জ্বালানি পণ্যটি কেনা থেকে বিরত থাকছে। ফলে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত পরিশোধনাগারগুলো মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিকল্প উৎস থেকে জ্বালানি তেল কেনা শুরু করেছে।
এছাড়া ভারতে বর্ষাকালে জ্বালানি পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় আমদানির ওপর প্রভাব পড়েছে। গত মাসে ভারত ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো লাতিন আমেরিকা থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাদ দিয়েছে।
ভারতের চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের পরিশোধনাগারগুলো রাশিয়ার জ্বালানি তেলের দিকে ঝুঁকেছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, চীনা পরিশোধনাগারগুলো অক্টোবর ও নভেম্বরে সরবরাহের জন্য রাশিয়া থেকে ১৫টি জ্বালানি তেলের চালান নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি চালানে ৭-১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল থাকতে পারে। যেহেতু রাশিয়ার জ্বালানি তেল মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে ২-৩ ডলার সাশ্রয়ী, তাই চীনের এ বাড়তি চাহিদা অঞ্চলটির জ্বালানি তেলের বাজারে চাপ তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে অনেক দেশই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকছে। বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজার এখন কেবল চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নয়, বরং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক চাপের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
প্রদা/ডিও