গত ১৪ আগস্ট পেঁয়াজের আইপি দেয় সরকার। ফলে ১৭ আগস্ট রোববার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। কিন্তু গতকাল ১৯শে আগষ্ট থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আমদানিকাকররা আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও কোনো আইপি ইস্যু করা হচ্ছে না।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। পেঁয়াজ আমদানির আইপির ক্ষেত্রে ৩০ টনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অনুমতি না দিলে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ১৪ আগস্ট পেঁয়াজের আইপি দেয় সরকার। ফলে ১৭ আগস্ট রোববার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সররবাহ বাড়ায় দাম কমে আসছিল। কিন্তু গতকাল ১৯ আগস্ট থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আমদানিকাকররা আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও কোনো আইপি ইস্যু করা হচ্ছে না। এতে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার পেঁয়াজের আইপি উন্মুক্ত করে দেয়ায় অনেক আমদানিকারক ভারতে পেঁয়াজ কিনে ট্রাকে লোড করেছিলেন। ভারতের মোকাম থেকে এসব ট্রাক দেশে আসতে ৫-৬ দিন সময় লাগে। ফলে পেঁয়াজ ভর্তি এসব ট্রাক এখনো ভারতেই রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমদানিকারকরা আইপি পেতেন। তারপর এসব ট্রাক দেশে প্রবেশ করতো। কিন্তু হঠাৎ করে আইপি বন্ধ করে দেয়ার কারণে সীমান্তের ওপারে বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের শতাধিক পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এসব ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে না পারলে আমদানিকারকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
তাই যেসব আমদানিকারক এরইমধ্যে আইপির আবেদন করেছেন ও ভারতে পেঁয়াজ কিনে ট্রাকে লোড করে রেখেছেন অন্ততপক্ষে তাদের জন্য পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, আমদানিকারক রিপন হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রদা/ডিও