চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্পের আওতায় মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। সে অনুযায়ী, এ বছরের জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৬৯ শতাংশে, অর্থবছরের প্রথম মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার হিসেবে যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর বিগত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাইয়ের তুলনায় এ সময় ব্যয় কম হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সরকারের ১২ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ গত মাসে এডিপি বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম মাসে এ হার ছিল ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২২-২৩-এর জুলাইয়ে সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো এডিপি বাস্তবায়ন করেছিল দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাসে এ হার ছিল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে সরকারের ১২ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সংসদবিষয়ক সচিবালয় এবং আইএমইডি নিজে। এ ১২ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতায় মোট ১৩০টি প্রকল্পে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
এবার এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকার বিষয়ে কোনো অজুহাত মানা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রোববার ১৭ আগস্ট একনেক সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয়ের হার ১ শতাংশেরও কম। গতবছর অনেক কারণে প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে। বাস্তবায়নের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার থেকে অনেক কম প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল। এ বছর আরো গতিশীল হওয়ার কথা। গতবছরের অজুহাত এ বছর দেয়া চলবে না।’
প্রদা/ডিও