সন্তান যদি ইংরেজি মাধ্যম, বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিদেশে পড়াশোনা করে তা এখন থেকে জানাতে হবে আয়কর রিটার্নে।
এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন বিল যৌক্তিক পরিমাণে প্রদর্শন করা হয়েছে কি না তা এরকম ৯ ধরনের তথ্য জানাতে হবে রিটার্নের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কিত তথ্যের ব্যয় বিবরণীতে। আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা-২০২৫ এ, এসব নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ফাঁকি রোধ ও কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে ‘আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা, ২০২৫’ জারি করেছে। নতুন এ নির্দেশনায় করদাতাদের রিটার্ন যাচাই, অডিট প্রক্রিয়া, ঝুঁকিপূর্ণ খাত চিহ্নিতকরণ এবং আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কর ফাঁকি প্রতিরোধ, কর পরিহারের প্রবণতা কমানো এবং একটি সুস্থ কর সংস্কৃতি গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। ঝুঁকিপূর্ণ খাত চিহ্নিত করা এবং কর আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করাও অডিটের অন্যতম লক্ষ্য।
করদাতাদের রিটার্ন অডিটের জন্য রিস্ক বেইজড সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া প্রবর্তন করা হয়েছে।
ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন র্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতিতে বাছাই করা হবে।
কোম্পানি ও অন্যান্য বড় করদাতাদের ক্ষেত্রে বিশেষ অডিট টিম গঠন করে ঝুঁকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
অডিটে করদাতাদের বিভিন্ন উৎস থেকে আয় চাকরি, ভাড়া, কৃষি, ব্যবসা, মূলধন লাভ, বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ (রেমিট্যান্স) ইত্যাদি সঠিকভাবে ঘোষিত হয়েছে কি না তা খুঁটিয়ে দেখা হবে।
চাকরি থেকে প্রাপ্ত আয় ও ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের মিল খতিয়ে দেখা হবে।
ভাড়া আয় ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য যাচাই হবে।
ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যাংক হিসাব, ক্রয়-বিক্রির নথি ও ভ্যাট রিটার্ন মিলিয়ে দেখা হবে।
বিদেশ থেকে প্রেরিত রেমিট্যান্স প্রকৃত উপার্জনকারীর নামে এসেছে কি না, তাও যাচাই হবে।
করদাতাদের সব রিটার্ন অডিট করা হবে না। মোট দাখিলকৃত রিটার্নের সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ অডিটের আওতায় আনা হবে।