বাজারে বিক্রি হওয়া মাছের মধ্যে তুলনামূলক কম দাম তেলাপিয়ার। নিম্নআয়ের মানুষের আমিষের প্রধান উৎস হয়ে ওঠা মাছটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছিল।
বাজারে বিক্রি হওয়া মাছের মধ্যে তুলনামূলক কম দাম তেলাপিয়ার। নিম্নআয়ের মানুষের আমিষের প্রধান উৎস হয়ে ওঠা মাছটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই এক বছরের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে তেলাপিয়ার দাম বেড়ে গেছে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ গত বছর ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বড় তেলাপিয়া এখন কিনতে হচ্ছে ৪০০ টাকায়। মাঝারি ও ছোট আকারের দামও বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। যদিও ঢাকার বাইরে বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
মাছের বাজারে গত কয়েক মাস ধরেই বিরাজ করছে অস্থিরতা। রুই-কাতলা-পাঙাশের পর এবার দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরের এ মাছ ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে খুচরা বিক্রেতারা। দুয়ে মিলে নানা অজুহাতে ইচ্ছেমতো ভোক্তার পকেট কাটা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জুরাইন, পলাশী ও হাতিরপুল মাছ বাজার ঘুরে গতকাল দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের বড় তেলাপিয়া মাছ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ৩৫০-৩৮০ টাকায়ও বিক্রি হয়। জুরাইনের মাছ বিক্রেতা আকবর হোসেন বলেন, ‘তেলাপিয়া মাছে আগে কখনো এত দাম উঠে নাই। এখন এক কেজির বেশি ওজনের মাছ ৪০০ টাকা করে বিক্রি করছি। আমাদেরই কেনা পড়েছে ৩৫০ টাকার ওপরে। আর ৫০০ গ্রামের তেলাপিয়া বিক্রি করছি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে। বাজারে মাছের দাম এখন অনেক বেশিই যাচ্ছে। ফলে আমাদের বেচাকেনাও অনেক কমে গেছে।’
নড়াইলের মৎস্যচাষীরা প্রতি কেজি তেলাপিয়া আকার ভেদে ১৪০-১৭০ টাকায় বিক্রি করছেন। জানা গেছে, চার থেকে পাঁচটি মাছে কেজি হয় এমন আকারের তেলাপিয়া নড়াইলের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি, একটায় কেজি হয় এমন মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। নড়াইল পৌর এলাকার ভাদুলি ডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী খান কবীর অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে কম টাকায় মাছ কিনে পাইকার ও মধ্যস্বত্বভোগীরা ঢাকায় নিয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে মূল লাভ যাচ্ছে দালাল ও পরিবহনকারী ব্যবসায়ীদের হাতে, আর প্রকৃত মৎস্যচাষীরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।