তেলের বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগ—বৈঠক ব্যর্থ হলে রুশ তেলের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে, যা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলাস্কা বৈঠক ঘিরে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন ট্রাম্পকে চাপ দিয়ে একটি সমঝোতা করাতে পারেন—এই আশঙ্কায় ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক রয়েছেন। বৈঠকের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দিন শেষে ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজার প্রায় স্থিতিশীল থাকলেও, জুলাই মাসের পাইকারি মূল্য সূচকের তথ্য বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। মাসওয়ারি ভিত্তিতে পিপিআই বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে প্রকাশিত ভোক্তা মূল্যসূচক তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নর্থলাইট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ক্রিস জাকারেলি বলেন, আজ সকালে উৎপাদক মূল্যসূচকের বড় লাফ দেখাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে, যদিও তা এখনো ভোক্তাদের কাছে তেমনভাবে অনুভূত হয়নি। এটি আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভের ‘নিশ্চিত’ সুদের হার কমানোর আশাকে দুর্বল করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
তবে ফিউচার বাজারে এখনো এক চতুর্থাংশ শতাংশ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই তথ্যের পর বড় আকারের (অর্ধ শতাংশ) হার কমানো এখন সম্ভাবনার বাইরে বলে মনে করেন ক্রেসেট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের জ্যাক অ্যাবলিন।
সবচেয়ে বড় তিনটি মার্কিন শেয়ার সূচকই দিনের শুরুর পয়েন্ট থেকে দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে শেষ হয়েছে। ইউরোপে প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও লন্ডনের বাজার দিন শেষে ইতিবাচক ফলাফলে বন্ধ হয়েছে।
তেলের বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগ— বৈঠক ব্যর্থ হলে রুশ তেলের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে, যা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেবে। তেল বিশ্লেষক স্টিফেন শর্ক বলেন, বাজার এখন খুবই স্নায়ুচাপে আছে।