বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা ও প্রার্থনার বার্তায় ভরে উঠেছে নেতাকর্মীদের টাইমলাইন। দেশের বিভিন্ন স্থানের নেতাদের পাশাপাশি প্রবাসী কূটনীতিকরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বাবা এস্কান্দর মজুমদার ও মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও খালেদা জিয়ার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে, বাবার কর্মস্থলে। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে নাম লেখান খালেদা জিয়া। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, বাংলাদেশের অভিভাবক বেগম খালেদা জিয়া! বাংলাদেশকে যিনি নিজের অস্তিত্বে ধারণ করেছেন, আর দেশও যাকে আপন করে নিয়েছে সীমাহীন ভালোবাসায়।
জেল, জুলুম, নির্যাতন—কোনো অন্ধকারই আপনার সাহস, সার্বভৌমত্ব রক্ষা আর গণতন্ত্রের প্রতি অটল বিশ্বাসকে দুর্বল করতে পারেনি।
আপনার জন্য কাজ করার সুযোগ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জনগুলোর একটি।
আজকের এই দিনে, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য আমার অযুত প্রার্থনা—যেন মহান আল্লাহ আপনাকে রাখেন নিরাপদ, সুস্থ ও শক্তিমান, যতদিন না বাংলাদেশ পূর্ণ হয়ে ওঠে আপনার প্রত্যাশিত আলোয়।’
ছবিটির ক্যাপশনে তিনি আরও লিখেছেন, প্রায় দেড় দশক আগে যুক্তরাজ্য সফরকালে হাউজ অব কমন্সের প্রবেশদ্বারে, সে সময়ের ডিএফআইডি মন্ত্রী অ্যালান ডানকানের সঙ্গে আমার খুনসুটিতে বেগম খালেদা জিয়ার হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্ত।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ফেসবুকে খালেদা জিয়ার ছবি ও বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে তৈরি একটি গ্রাফিক পোস্ট করে লিখেছেন—‘শুভ জন্মদিন গণতন্ত্রের মাতা।’
পল্টন থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিনে, গণতন্ত্রের মাতা আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করি, মহান আল্লাহ পাক সবসময় পরিপূর্ণ সুস্থ ও হায়াতে তৈয়বা নসীব দান করুন, আমিন।’