পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড হয়েছে ৫২.৩৩ মিটার, যা বিপদসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১৮ সেন্টিমিটার বেশি।
টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ নদীতীরের হাজারো মানুষ। অনেকেই সরে যেতে শুরু করেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছিল, পরে তা নেমে আসে ৪ সেন্টিমিটারে। তবে রাতের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার আবারও তা বেড়ে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়।
পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, সদর ও পাটগ্রাম উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার বাম তীরবর্তী এলাকায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও গবাদি পশুর খামার।
নীলফামারী জেলার ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুল্লা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি। এসব পরিবারের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।