টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে দুই বাজারেই লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
টানা সাত কার্যদিবস পতনের পর এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে দিনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৪টির। আর ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৯১টির দাম কমেছে এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ২৯টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৮টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বুধবার ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০৩ কোটি ২ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭০৪ কোটি ৮৮ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার। ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রহিমা ফুড, সিপার্ল বিচ রিসোর্ট, মনোস্পুল পেপার, যমুনা ব্যাংক, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং এবং মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স।