দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গেই কঠিন শর্তে দরকষাকষি করেছে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গেই কঠিন শর্তে দরকষাকষি করেছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে হওয়া চুক্তির উদাহরণ দিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে সম্প্রতি এ কথা জানায় দেশটির সরকার। তাই মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে রফতানি বাজারে বৈচিত্র্য আনার কৌশল নেয়া হচ্ছে।
কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান অগ্রগতির বিষয়ে সোমবার অবহিত করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি ও বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল।
ভারত সরকার আরো বলছে, বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের ছাড় দিলেও অতিরিক্ত শুল্ক কিছুটা কমানো বা সমন্বয় করা হয়েছে, পুরোপুরি তুলে নেয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে রফতানি বাজারে বৈচিত্র্য আনবে ভারত। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সংবেদনশীল খাতে ছাড় না দেয়ার বিষয়ে ভারত দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।
নয়াদিল্লি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ভারত এমন কোনো শর্ত মেনে নেবে না যা দেশের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে কৃষি ও দুগ্ধ খাতের মতো ক্ষেত্রে। এসব খাতে বড় ধরনের ছাড় দেয়ার প্রশ্নে ভারত কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও জানানো হয়।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের নতুন কৌশলে এমন ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ দেশ যোগ করেছে, যেখানে সরকারের সহায়তায় রফতানি বাড়ানো সম্ভব। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া বাণিজ্য শর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মতো তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত দেশে বেশি রফতানির সুযোগ রয়েছে। কারণ এসব দেশ নিজেদের কারখানায় পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল বা আধা-প্রস্তুত উপকরণ অন্য দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির পরবর্তী দফার আলোচনায় অংশ নিতে ২৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের নয়াদিল্লি সফরের কথা রয়েছে। তবে বাকি আলোচনা চালানোর আগে শুল্কসংক্রান্ত সমস্যা নিরসন করতে হবে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কারণে নির্ধারিত আলোচনা সময়মতো হবে কিনা বা পরিবর্তন হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।