বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যেখানে পড়াশোনার পর চাকরির সুযোগ পান, সেখানে বাংলাদেশীদের জন্য তা এখনো চালু হয়নি।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা চালুর কথা ভাবছে মালয়েশিয়া। এ ভিসা চালু হলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন চাকরির সুযোগ পাবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ায় দেশটির উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী জাম্ব্রি আবদুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলেন।
আইন, বিচার ও প্রবাসী কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘মন্ত্রী নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন। তবে নীতি কার্যকর করতে উভয় পক্ষকে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।‘
বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যেখানে পড়াশোনার পর চাকরির সুযোগ পান, সেখানে বাংলাদেশীদের জন্য তা এখনো চালু হয়নি।
বুধবার সকালে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা বিনতি সিদেকের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের আরেকটি বৈঠক হয়। সেখানে বৃত্তি বাড়ানো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী ডিগ্রির স্বীকৃতির বিষয়েও আলোচনা হয়।
মন্ত্রী প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘদিনের ‘থ্রি জিরো’ প্রচারণার (দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা) প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী কল্পনা না করলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।‘
তিনি মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রীকে ঢাকায় সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।